Aconite Nap(একোনাইট ন্যাপ)







Aconitum Napellus 30c


বিজ্ঞানসম্মত নাম:  অ্যাকোনাইটাম ন্যাপেলাস (অ্যাকোন)
বাংলা নাম , প্রতিশব্দ বা সমনামঃ   উলফ্ বেন, নেকড়ের বিষ।  কাঠ বিষ, মিঠা জহর, এঙ্গষ্টিফোলিয়াম, হেলমেট ফ্লাওয়ার, মোক্সহুদ, ফ্রায়ার্স ক্যাপ
ঔষধের উৎস : এটি এক ধরনের বিষাক্ত গাছের পুষ্প  মূল সংগ্রহ করে ঔষধ প্রস্তুত করা হয়। 
গাছ এর প্রপ্তিস্থান: আলপাইন পর্বত এবং সেন্টাল এশিয়া নেপাল হইতে কাশ্মির পর্যন্ত ও ভারতের হিমালয় পর্বতে দেখা যায়। আমেরিকা এই গাছের চাষ হয়।
গাছ চিনার উপায়: এই গাছটি বহুবষজীবি সোজা খাড়া এবং ওল বা আলুজাতী মূল। ইহা কান্ড হইতে মূল  ফুট লম্বা হতে পারে। ফুলগুলো দৃষ্টিনন্দন, ব্লু, পার্পল, সাদা,হলুদ বা পিংক রঙের হয়ে থাকে। ফুলগুলো উদ্ভিদ শীর্ষের মঞ্জরীতে ফুটে থাকে। এই ফুলের বিশেষত্ব এই যে, এর পাঁচটি পাপড়ী সদৃশ বৃতি সিলিন্ডার আকৃতির হয়ে ফুলের পিছন দিকে থাকে। বর্ষজীবি উদ্ভিদ। কাঠবিষ উদ্ভিদটি হিমালয়ের পাহাড়ী এলাকায় বেশী দেখা যায়।নামেই বোঝা যায় এটি মারাত্মক বিষাক্ত।সিউডাকোনিটিন নামক এলকালয়েড এই উদ্ভিদে প্রচুর পরিমানে থাকে, যা তীব্র বিষাক্ত।





একোনাইট এর প্রুভার:  ডাঃ  হ্যানিম্যান ১৮০৫ সালে রোগীতে প্রয়োগ করেন।  
যে উপাদান থেকে যে ওষুধ'টি তৈরি হয়, সে উপাদানের মূল বৈশিষ্ট্য গুলির সাথে ঐ ওষুধের মূল লক্ষণ সমূহের অনেক ক্ষেত্রে সদৃশ থাকে।
যেমন : Aconite অর্থ ধুলামুক্ত। একোনাইট উদ্ভিদটি মাটি থেকে টান দিয়ে উঠানোর সময় এর শিকড়ে বিন্দু পরিমান ধূলিকণা লেগে থাকেনা যে কারণে একোনাইট কে ধুলামুক্ত উদ্ভিদ বলা হয়।হয়তো সে কারণেই একোনাইট এর রোগীরা ধুলামুক্ত অবস্থায় সুস্থ থাকে ও ধুলাযুক্ত অবস্থায় অপেক্ষাকৃত বেশি অসুস্থ হয়।
বিষয়টি পরিষ্কার করে বলি, এর রোগীরা শুষ্ক, ঠান্ডাযুক্ত আবহাওয়ায় বেশি অসুস্থ হয়, অর্থাৎ হেমন্ত, শীত ও বসন্ত কালে বেশি অসুস্থ হয়। কারণ এইসব ঋতু বেশি ধুলাযুক্ত থাকে। বর্ষাকাল ধুলামুক্ত থাকে বলে হয়তো এই ঋতুতে অপেক্ষাকৃত অনেক কম অসুস্থ হয়।

প্রস্তুত প্রণালী:
পুষ্পিত হওয়ার প্রারাম্ভে এই গাছ ও মূল সংগ্রহ করে ঔষধ প্রস্তুত করা হয়। ফুল, পাতা ও সমগ্র গাছ হতে মুল অরিষ্ট হয়। মূল অরিষ্ট হতে হোমিও ফার্মাকোপিয়ার নিয়মে বিভিন্ন শক্তি ঔষধ তৈরি হয়। 
শ্রেনী বিভাগঃ
একোনাইটের ০৫টি শ্রেণী আছে-
১। একোনাইট নেপিলাস ( Aconite Naples ): গাছ মুকুলিত হইবার সময় ফুল, কুড়ি,পাতা ও সমস্ত গাছ হইতে প্রস্তুত করা হয়।                                   ২। একোনাইট ক্যামারান ( Aconite Cammarun): তাজা শিকড় হইতে প্রস্তুত করা হয়-
সুড়সুড়ানি বা পোকা হাটার ন্যায় অনুভূতি জিহ্বা ও ঠোঁটে আরনভ হইয়া সমস্ত শরীরে ছড়াইয়া পরে।                                                                                     ৩। একোনাইট ফেরক্স ( Aconite Ferox):মূল হইতে প্রস্তুত করা হয়- শ্বাস কস্ট, উঠিয়া বসিতে হয়, তীব্র জ্বালাকর বেদনা, শ্বাস যন্ত্রের মাংস্পেশির পক্ষাঘাত হইতে উদ্বেগ ও নিশ্বাস বন্ধ হইবার ভয়।                                                                                                                                         ৪। একোনাইট লাইকোটোনাম( Aconite Lycotonum):গাছের ফুল ফুটিবার সময় লতা পাতা হইতে প্রস্তুত করা হয়- কাশিতে রক্তের স্বাদ, ঘাড়,বগল ও স্তনেরগ্রন্থি সমূহের স্ফীতি, মানসিক পরিশ্রম হইতে রোগের বৃদ্ধি।                                                                                                                                                               ৫। একোনাইট রযাডিক্স (Aconite Radix): মূল ও শিকড় হইতে প্রস্তুত করা হয় -কলেরায় ব্যবহৃত হয়।                

ফরমূলা: আমেরিকা-২, জার্মনী-১

ওষুধের নামের মধ্যেই ওষুধের মূল লক্ষণসমূহ অন্তর্নিহিত যথা :
Aconite Nap :
A : Anguish : মারাত্মক যন্ত্রণা।
C : Confusion of mind : মনের বিশৃঙ্খলা।
O : Offended easily : সহজে ক্ষুব্ধ হয়।
N : News bad from, ailments : দুঃসংবাদ হতে অসুস্থ।
I : Impatience : অধৈর্য।
T : Touched anger : স্পর্শ করলে রাগ হয়।
E : Excitement : উত্তেজনা।
N : Narrow place of fear : সংকীর্ণ জায়গায় ভয়।
A : Attacks of anxiety : আক্রমণের আশঙ্কা।
P : Panic : উদ্বেগ।
ক্রিয়াস্থান:  স্নায়ূমন্ডলী, পৃষ্ঠদেশ,পেশী, গাঁট, পাকস্থলী, ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, যকৃত, শ্বাস নালী, গলনালী,  সোরিব্রো-স্পাইন্যাল-নার্ভাস-সিষ্টেম
অর্থাৎ মস্তিস্ক ও মেরুমজ্জার স্নায়ু মন্ডলীর উপর ইহার প্রধান ক্রিয়া।
চরিত্রগত লক্ষণ:
১/ পেশী সমূহ দৃঢ়।  
২/ চক্ষুর তারা কাল।  
৩/ রক্ত প্রধান ধাতু তাদের হঠাৎ  তীব্র রোগে।
/ হঠাৎ পীড়ার আক্রমন। রোগ ঝড়ের বেগে আসে, দেখিতে দেখিতে চরম আকার ধারণ করে, রোগের আক্রমন বিরতিহীন ভাবে চলতে থাকে, কোন পর্যায়শীলতা নাই।
/ নাড়ী খুব দ্রুত, কঠিন ও পুষ্ট।
/ জ্বালা-পোড়া, একবার গরম একবার শীতবোধ হয়।
/ পীড়ার লক্ষণসমূহ রাত্রিতে বৃদ্ধি এবং সকল পীড়া হঠাৎ প্রকাশিত হয়।
/ প্রচণ্ড পিপাসা, বারবার অল্প পরিমান পানি পান করে,  আবার  অনেক্ষন অন্তর অধিক পানি পান করে, পানি ছাড়া সবকিছু তিতা লাগে।
১০/ ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব, প্রস্রাব লালবর্ণ, গরম ও যন্ত্রনাদায়ক, শিশুদের ভূমিষ্ট হইবার পরই প্রস্রাব বন্ধ।          
 ১১/ সর্বাঙ্গে প্রদাহ ও অধিকাংশ রোগেই ঘর্মহীনতা।
১২। স্পর্শাসহিষ্ঞু ব্যথা, অসহ্য ব্যথা, কাটিয়া বা ছিড়িয়া ফেলা মত ব্যথা, ব্যথার স্থান অসাড়বোধ।
১৩। রোগের তীব্রতায় কেউ কাছে থাকুক সেই ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং গোলমাল, আলো ও স্পর্শে অত্তানুভুতি।
১৪। গায়ের কাপড় খুলিয়া ফেলিলে রোগ লক্ষন হ্রাস ঘটে।
১৫। মাংশ পেশিতে বেথা, গাটে ও সন্ধিস্থলে বেদনা এবং আড়ষ্টতা, নড়া চড়া করিলে বাড়ে।
উপরোক্ত লক্ষণ সাদৃশ্য যে কোন রোগেই আমরা একোনাইট প্রয়োগ করতে পারবো।
মানসিকগত লক্ষণ:
জিহ্বা : ভীষণ শুষ্ক। (ফার্স্ট গ্ৰেড)।
ভীষণ ও হঠাৎ আক্রমণ। কালবৈশাখী ঝড়ের মত ভীষণ ও হঠাৎ আক্রমণ।
ভীষণ অস্থিরতা ও ছটফটানি।
ভীষণ মৃত্যুভয়।
ভীষণ অন্তর্দাহ বা জ্বালা।
ভীষণ ব্যাকুলতা ও উৎকণ্ঠা।
ভীষণ পিপাসা।
হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া ভীষণ দ্রুত হওয়া বা অস্বাভাবিক হওয়ায় উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা, ভয় ও মৃত্যু ভয় এর কারণ।
মৃত্যুভয় এত ভীষণ হয় যে, রোগী নির্দিষ্ট করে তার মৃত্যুর সময় বলে। বলতে থাকে আমি আর বাঁচবো না, চিকিৎসা করে লাভ নাই, আত্মীয়স্বজনকে ডেকে ক্ষমা চায়, শেষ বিদায় চায়, এমন আচরণে স্বজনরা ভীষণ ভয় পেয়ে যায়।
ডেলিভারীর পূর্ব মুহূর্তে গর্ভবতী মা অপারেশন থিয়েটারে ঢুকতে ভীষণ ভয়, যদি মরে যায়, এই ভয়ে স্বামীকে জড়িয়ে ধরে বলে আমাকে ক্ষমা করে দাও। একজন মনীষী রসিকতা করে বলেছেন ওকে ক্ষমা নয়, ২ডোজ একোনাইট দাও, সব ঠিক হয়ে যাবে। অর্থাৎ ভয় কেটে যাবে।
ভীষণ হতাশায়, ক্রোধ ও উত্তেজনা প্রবণতা।
ভীষণ এক্সিডেন্টের ভয়, ফলে মানুষের ভীড়, গাড়ি-ঘোড়ার ভীড়, সকল প্রকার ভীড়, এমনকি সেতু বা রাস্তা পারাপারে, দুই বিল্ডিং এর মাঝে, সরু রাস্তায় চলতে ভীষণ ভয়।
উত্তেজনা প্রবণ জায়গায় যেতে ভীষণ ভয়।
ভীষণ দ্রুত কথা বলে, কথাবার্তা সবকিছুতেই ভীষণ তাড়াহুড়া করে।
ভীষণ ব্যস্তবাগীশ ও কর্মঠ তবে কুমারী মেয়েরা অলস।
একোনাইট এর রোগ ভীষণ হলেও সাধারণত পুরাতন বা স্থায়ী হয় না। - ডা. কেন্ট।
আমাশয় রোগে ভীষণ কোঁথুনি, শুলুনী ব্যথা ও লাল, তাজারক্ত থাকে।
ভীষণ ঠান্ডার জন্য পক্ষাঘাত হলে ইহা প্রযোজ্য তবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত জায়গাটি ঝিঝি ধরা ও ঠান্ডা থাকে।
ভীষণ অধৈর্য : কোন কিছু চাইলে বা করতে নির্দেশ দিলে, দ্রুত করতে হবে, না হলে ভীষণ রেগে যাবে।
ভীষণ অধৈর্য হয়ে চিৎকার করে, মুখ খারাপ করে গালাগালি করে, কেউ যদি তার কথার প্রতিবাদ করে তবে।
মুখমন্ডলে ভীষণ ভয়ের সুস্পষ্ট ছাপ থাকলে, হঠাৎ আক্রমণকারী যে কোন রোগের প্রথম অবস্থায় এখনাইট প্রয়োগে দ্রুত সুস্থ হয়।- অধ্যাপক ডা. আবু বকর।
ভীষণ কথা বলে, অনর্গল কথা বলতে থাকে।
ভীষণ মানসিক ভয়, উদ্বেগ লক্ষণ বর্তমান থাকলে, পুরাতন ব্যাধি বা প্রতি ঋতু পরিবর্তনে বারবার আক্রমণ করে এমন ব্যাধিতে ইহা দারুন কাজ করে।
ভীষণ ভয় অন্ধকারে।
ভীষণ শ্বাসরোধ হওয়ার ভয়।
ভীষণ উত্তেজনাপ্রবণ ব্যক্তিরাই একনাইট, শান্ত প্রকৃতির মানুষেরা সাধারণত একোনাইট নয়।
সবকিছুতেই হঠাৎ ভীষণ উত্তেজিত বা রাগ হয়। আবার হঠাৎ শান্ত হয়ে যায়।
ভীষণ সন্দেহপ্রবণ। (ফাস্ট গ্রেড)।
ভীষণ উদ্ভট একটা লক্ষণ একোনাইটে পাবেন, এর ধারণা, তার চিন্তাভাবনা পাকস্থলী থেকে আসে, মস্তিষ্ক থেকে নয়।


ঔষধ নির্দেশক বিভিন্ন লক্ষন-
১। হঠাত ভয়  পাওয়া, যেমন সামনে দিয়ে কুকুর দৌড়ে যাওয়াতে ভয় পাইয়া মাথা ঘুরা।
২। শীতকালের উত্তরের শীতল বাতাসে নাকের সর্দি বন্ধ হইয়া মাথা বেথা।
৩। চোখে হঠাত রক্ত সঞ্চয় বা লাল হইয়া যাওয়া কিন্তু তাতে কোন পিচুটি না থাকে, চোখে আঘাত লাগার পর, ধুলা প্রবেশের পর চোখের প্রদাহ্, হঠাত অন্ধত্ব।
৪। ঠান্ডা বাতাস কানে লাগিয়া কানে বেথা
৫। দিনে ঠান্ডা লাগিয়া রাতে মাথা বেথা, সর্দি
৬। প্রস্রাব লাল রঙ এর, গরম, ও যন্ত্রনাদায়ক, পরিমান  অল্প, প্রস্রাব বন্ধ, ফোটা ফোটা প্রস্রাব, মূত্রনালীতে জালাপোড়া,প্রস্রাব করার আগে ভয়,
৭। কখনো খালি পেটে বা কখনো কিছু খেলেই পেটের বেদনা
৮। সর্দি জ্বর, প্রবল জ্বর ও অবিরাম জ্বর, ঠান্ডা লাগিয়া , পানিতে ভিজিয়া বা ঘাম হইবার পর ঠান্ডা লাগিয়া জ্বর এবং মনে রাখার বিষয়- একোনাইটের জ্বরে ঘাম থাকে না।

বৃদ্ধিঃ
সন্ধ্যায় (বুকের লক্ষণ ও ব্যথা), রাতে (মাঝরাতে), আলোতে, গোলমালে, আক্রান্ত পাশ চেপে শয়নে (হিপার, নাক্স-মস), সঙ্গীতের শব্দে, শ্বাস গ্রহণে, শুষ্ক শীতল বাতাসে, গরম কক্ষে গরম আচ্ছাদনে, ধুমপানে, বিছানা হতে উঠলে, ভয় পেলে, বিরক্তি, মানসিক উত্তেজনায়, ঋতুকালে।
হ্রাসঃ
মুক্ত বাতাসে (অ্যালুমিনা, ম্যাগ-কা, পালস, স্যাবাইনা), ঘাম ও স্রাব নিঃসরণে, স্হিরভাবে উপবেশনে (বাত), বিশ্রামে, মদপানে, গায়ের কাপড় খুলে ফেললে। 
একোনাইট ও আর্সেনিকে রুগীর পার্থক্য -
ক্রঃনং
একোনাইট
আর্সেনিক
১।
জ্বালা, অস্থিরতা, মৃত্যু ভয় ও পিপাসা,মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট করে।
জ্বালা, অস্থিরতা, মৃত্যু ভয় ও পিপাসা,মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট করে না।
২।
অধিক পরিমানে ঘনঘন পানি পান।
অল্প পরিমানে ঘন ঘন পানি পান।
৩।
রোগের প্রথমিক অবস্থায়।
রোগ ভোগের শেষ ও জটিল অবস্থায়।
৪।
জ্বালা অন্তর্দ্দাহ; কিন্তু গায়ের কাপড় খুলিলে শীত। (এই মাত্র শীত. আবার এই গরম )
জ্বালাঃ ঠান্ডায় বৃদ্ধি , উত্তাপে উপশম। গায়ের কাপড় খুলতে চায়না

শক্তি: x শক্তি কলেরায় এবং ৩ হইতে ২০০ বিশেষ ফলপ্রদ।   

ক্রিয়া কাল: ১ দিন। তাই এই ঔষধ অবস্থা বিশেষে ঘন ঘন প্রয়োগ করিতে হয়। একই শক্তি একাধিক মাত্রা দিতে হইলে শক্তি পরিবর্তন নীতিতে প্রয়োগ করিতে হয়।
পরবর্তী ঔষধঃ মার্কসল,আর্সেনিক, সালফার, বেলেডোনা, ব্রায়োনিয়া, ক্যান্থারিস, হিপার, ইপিকাক, পালসেটিলা, রাসটক্স, সাইলিসিয়া, স্পঞ্জিয়া।
ক্রিয়ানাশকঃ    এসেটিক এসিড,বেল,বার্ব্বেরিস,কফিয়া,অ্যালকোহল, প্যারিস, স্পঞ্জি, ক্যামো, সালফার, নাক্স, উদ্ভিদজাত অম্ল, লেমনেড। ।
সম্বন্ধঃ একোনাইটের সহিত সালফারের প্রবল সম্বন্ধ রহিয়াছে। কোন স্থানে একোনাইট প্রয়োগ করিয়া ফল না পাইলে সালফার দিলে বা সালফার এর পর একোনাইট দিলে ঈপ্সিত ফল মিলে। পুনঃ পুনঃ রোগ আক্রমনের ক্ষমতা একোনাইটের নাই তাই সেই ক্ষেত্রে সালফার প্রয়োগ করিতে হয়।
সতর্কতাঃ
(ক) ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, সেপটিক, ইত্যাদি দূষিত বা বিষাক্ত জ্বরে অ্যাকোনাইট ব্যবহৃত হয় না।
(খ) অসুস্হ রোগী যেখানে স্হির ও শান্ত থাকে সেক্ষেত্রে কখনও অ্যাকোনাইট দেবেন না।