Arsenic Alb (আর্সেনিক এল্বা)
সমনামঃ-সেঁকোবিষ, হোয়াইট অক্সাইড অফ আর্সেনিক, সাদা আর্সেনিক।
মায়াজমঃ- অতি গভীর অ্যান্টিসোরিক, কম অ্যান্টিসাইকোটিক, হাল্কা অ্যান্টিসিফিলিটিক,অ্যান্টিটিউবারকুলার।
সাইডঃ- ডানপাশ, উপরে বামপাশ নিচে ডানপাশ।
কাতরতাঃ- শীতকাতর।
আর্সেনিকের উৎস:-খনিজ উৎস। সেঁকো বিষ হইতে এই ঔষধ প্রস্তুত হয়। আর্সেনিকের ধাতব পদার্থ ঝল- সাইয়া আর্সেনিক এলবাম পাওয়া যায় ।ইহা সাদা ভারী বিচূর্ণ পদার্থ রুপ লাভ করে অথবা ছোট বড় পিন্ড যে অবস্থাতেই থাকে তাহা কাঁচ ভাঙ্গার মত প্রতীয়মান হয় ।ইহা একটি তীব্র বিষাক্ত পদার্থ ।
আর্সেনিকের প্রয়োগ ক্ষেত্র :- অস্থিরতা, দুর্বলতা, অতিশয় জ্বালা, পিপাসা, কলেরা, জ্বরপীড়া, টাইফয়েড, উদারাময়, আমাশায়, চক্ষুপীড়া, সর্দিকাশি, হাচি, হাঁপানী, হৃৎপিন্ডের পীড়া, শোথ, চর্মপীড়া, অর্শ ক্ষত, ডিম্বকোষের পীড়া, রজঃস্রাব, এলবুমেনুরিয়া, মৃগী ও মুর্ছা প্রভৃতি পীড়ায় ইহা প্রয়োগ হয় ।
আর্সেনিক যে ঔষধের ক্রিয়ানাশ করেঃ- কার্বো-ভেজ, চায়না, ফেরাম, গ্র্যাফ, হিপার, আয়োড, ইপি, ল্যাকে, মার্ক, নাক্স-ভম, ফস, স্যাম্বু, স্টিকনি, ট্যাবে, ভিরেট।
বৃদ্ধিঃ-মধ্যা রাতের আগে ও পরে, মদ জাতীয় উত্তেজক পদার্থে, উপর দিকে উঠতে, উত্তাপে, সাধারণ ভাবে ঠান্ডায়, ঠান্ডা বাতাসে, ঠান্ডা লাগালে, ঠান্ডা লাগালে পরে, ঠান্ডা স্থানে প্রবেশ করলে, আর্দ্র আবহাওয়ায়, আহারের পরে, দৈহিক পরিশ্রমে, ঠান্ডা খাদ্যে, ফলে, শুয়ে থাকলে, সঞ্চালন আরম্ভের পরে, দৌড়ালে, বসাবস্থায়, ঘুমের আগে, শুরুতে ও সময়ে, অনাচ্ছাদনে, পোশাক ছাড়লে, বমিতে, ঘুম থেকে জাগরণে ও মুক্তবাতাসে।
হ্রাসঃ- খোলা বাতাসে, গোসলে, আক্রান্ত অঙ্গে পানি দিলে, অবস্থান পরিবর্তনে, পেট ভরে আহারে, কফি পানে, গরম খাদ্যে, গরম পানীয়ে, শুয়ে থাকার পর, বিছানায় শুলে,এক পাশে চেপে শুলে,সঞ্চালনে, মর্দনে, ঘুমের পরে, তামাকে, স্পর্শে, দাঁড়ালে, উনুনের গরমে, গরম প্রয়োগে, সমালোচনায়, ঘামে, উচুঁ মাথায় শয়নে।
ইচ্ছাঃ- গরম এ থাকতে ,গরম পানীয়ে /খাদ্য, কফি, মদ, দুধ, ফল, সবজি, টক জিনিস খাবার প্রবল ইচ্ছে, উগ্রদ্রব্য, জ্বরের শীতাবস্থায় গরম পানির পিপাসা, আবৃত থাকিতে চায়।
অনিচ্ছাঃ- মাখন ও রান্না মাংস, ছাতু, মিষ্টি।
ক্রিয়াস্থিতিকালঃ- ৬০-৯০ দিন।
শক্তি প্রয়োগঃ- পাকাশয়, অন্ত্ররোগে- নিম্নশক্তি, স্নায়ুবিকারজাত রোগ ও চর্মরোগে- উচ্চশক্তি।
অধিকংশ ক্ষেত্রে– উচ্চশক্তিতে সুন্দর ফল দেয়।
ক্রমঃ- 2X - CM
আর্সেনিকের লক্ষন:-
১/ ভীতিপূর্ণ মানসিক উৎকন্ঠা অতিশয় অস্থিরতা ।
২/ একাকী থাকিতে ভয় পায়,চোর,ভূত, মৃত্যু ও ভবিষ্যতের মঙ্গলের ভয়।
৩/ অগোছাল ভাব এবং বিশৃঙ্খলা দেখিলে রোগী বিরক্ত হয় অর্থাৎ সূচি বাই আছে এমন রুগী।
৪/ পানির পিপাসা অত্যান্ত বেশি কিন্তু অল্প অল্প পানি পান করে, জল পানের পরই বমি।
৫/ রোগী অনবরত ছটফট করে , এপাশ ওপাশ করে ও স্থান পরিবর্তন করিতে চায়।
৬/ নাসিকা দিয়া জলের মত গরম সর্দ্দি নির্গমন সহ নাক বন্ধ।
৭/ চিৎ হইয়া শুইতে অক্ষমতা।
৮/ শীত কালে আগুন পোহাইতে ভালো লাগে।
৯/ চটচটে ঠাণ্ডা ঘাম,স্থির হইয়া থাকিলে উপসর্গের বৃদ্ধি।
১০/ শিশুরা মায়ের কোল থেকে বোনের কোলে, বোনের কোল থেকে বাবার কোলে,এভাবে এক জনের কোল থেকে আরেক জনের কোল পরিবর্তন করে।
১১/ মহিলারা এই ঘর থেকে অন্য ঘরে, এই বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি আরেক বাড়িতে হেটে বেড়ায় অনেকটা যাযাবরের মত।
১২/ পুরুষরা এই দোকান থেকে ঐ দোকানে। এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে হেটে বেড়ায়।এই শহর থেকে ঐ শহরে অনেকটা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মত।
১৩/ রুগীরা চেম্বারে এসে এক চেয়ার থেকে আরেক চেয়ার পরিবর্তন করে, চেয়ার না থাকলে বার বার নড়ে চড়ে বসবে।
১৪/ রুগীলিপি করা বিরক্ত বোদ করে। তাড়া তাড়ি ঔষধ দেওয়ার জন্য বলবে।ঘন ঘন ডাক্তারকে কল দিয়ে বিরক্ত করবে।
১৫/গায়ে জ্বালা সত্ত্বেও ক্ষমতা থাকিলে গায়ের কাপড় এক্টুও সরিতে দেয় না।
১৬/ অপচয় তেমন করেইনা।
১৭/ চোখের শোথ লক্ষণে নিচের পাতায় অধিক কিন্তু উপরের পাতায় কম। ফোলায় আঙ্গুল দিলে ডেবে যায়।
১৮/ আত্নহত্যার প্রবৃত্তি, হিংসুটে, স্বার্থপর এবং ভীরু।
১৯/ কাল্পনিক গন্ধ পায় এবং কাল্পনিক দৃশ্য দেখে ।
২০/ মল, মূত্র, শ্বাস-প্রশ্বাস,সবই দুর্গন্ধ যুক্ত, সাদা স্রাব থাকে যাতে জ্বালা ও অতিশয় পচা গন্ধ থাকে ও নিঃসৃত অংগে ক্ষত উৎপন্ন হয়।
২১/ এমন বাতিক যেনো সে চায় তাকে কেউ ধরে রাখুক।
২২/ ইহার রোগী কৃপণ, কম টাকায় সেরাটা পাইতে চায়। আর্সেনিক টাকা পয়সা (Money) নিয়ে খুব চিন্তা করে। টাকা খরচ করতে চায় না। টাকা জমিয়ে রাখে। সেই ভয়ে আমি না গরিব হয়ে যাই। অর্থের বিষয়ে আর্সেনিক খুব Careful. যদি আর্সেনিকের টাকা খরচ হতে থাকে সে এর পরিনাম নিয়ে চিন্তিত হয়ে যায়।
২৩/ আর্সেনিক এর রুগী খুব পরিপাটি।
২৪/ প্রচন্ডে জ্বরে ও সে বলে ভালো আছে।
২৫/ শাকসজ্বি খেয়ে কুফলের সৃষ্টি হলে, বিশেষত: তরমুজ এবং জলীয় ফল ভক্ষণে।
২৬/ রাত্রে ঘুমের মধ্যে কথা বলে, অল্পতে রাগ করে ও চটিয়া উঠে।
২৭/ দেখবেন কিছু মানুষ পাখা চালিয়ে কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমায়।
২৮/ আর্সেনিকের রোগীর মাথায় কিছু রাখলেই এ অস্বস্তি বৃদ্ধি পায়।
২৯/ কখনো কখনো ২/৩ দিন পর পর রোগ আক্রমণের প্রাবল্য দেখা যায়।
৩০/ আর্সের রোগী যেমন পরিচ্ছন্ন তেমনি কুটনামী করাও এগিয়ে, অন্যের দোষ ধরায় সিদ্ধহস্ত।
৩১/ সে রাগাম্বিত হইয়া সবার মুখের উপর কথা বলে দেয়, প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ খুঁজে, হিংসুকও বটে।
৩২/ নিদারুন দূর্বলতার সাথে জীবনীশক্তি সংঘাতিকভাবে লোপ পেয়ে যায়, মনে হয় যেন রোগী এখনিই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে।
৩৩/ বহুদিন ধরে গুটকা বা খইনি খেয়ে অর্থাৎ মুখে রেখে তার জন্য কোন রোগের সৃষ্টি হলে।
-------------------------------------*---------------------------
সতর্কীকরণঃ যতোক্ষণ আপনি আর্সেনিক নির্বাচন সম্বন্ধে নিশ্চিত না হন, ততোক্ষণ আর্সেনিকের যে কোনো শক্তি কখনো ব্যবহার করবেন না।—ডা. ঘটক।
আর্সেনিক পর্যায়শিল ব্যধির ঔষধ,যেমন,মস্তিষ্ক প্রদাহে ঠান্ডা চায়,আর ঘাড়ের নিচের অংশে গরম চায়।
যদি রোগী এসে আপনাকে বলে যে,
ডা:সাহেব- আমার প্রচন্ড মাথা ব্যথা,
তখন আপনি তাকে প্রশ্ন করলেন-মাথা ব্যথা কিসে বাড়ে?
রোগী বললো- গরমে বাড়ে।
কিসে উপশম?
উওরে পেলেন- ঠান্ডায় উপশম।
আপনি যদি Nat mur প্রয়োগ করেন, রোগীর মাথা ব্যথা উপশম হলো বটে,তারপরেই তার পায়ের গিরা বেদনা শুরু হলো,
তারপর আবার আপনি তাকে প্রশ্ন করলেন-পায়ে বেদনা কিসে বৃদ্ধি হয়?
উত্তরে পেলন- ঠান্ডা।
প্রশ্ন করলেন- কিসে ব্যথা হ্রাস হয়?
উত্তর-অস্থিরতায়, উত্তাপে বেদনা কমে।
আপনি তাকে ঔষধ দিলেন Rhus tox পা বেদনা উপশম হওয়ার পরেই আবার মাথা বেদনা শুরু হলো,কিন্তু যে সকল মহারথী ডাক্তার গন পর্যায়শীল ব্যধি সম্পরকে জ্ঞান আছে, তারা ১মাত্রা Ars alb দিয়ে রোগীর আরোগ্য প্রদান করতে পারেন।
শ্রদ্ধেয় ডা. রাধারমন এর একটি রোগীলিপী:
পুরাতন আমাশয়ের একটি রোগী, প্রায় শেষ অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে। এলোপ্যাথিক চিকিৎসা অনেক হয়েছে। তারা বিফল হয়ে শেষে বলেছেন Intestinal T.B. তারপর কবিরাজি চিকিৎসা হয়েছে তারা বলেছেন গ্রহণী। তারাও বিশেষ কিছু করতে পারেনি। এমন অবস্থায় আমার ডাক পডলো। আমার শাস্ত্র অনুসারে “so called” নির্দিষ্ট ঔষধ গুলো দিয়ে কোন ফল পাচ্ছিলুম না।শেষের দিকে আমার মনে হলো ইনি হয়ত আর আরোগ্য হবেন না। আমিও হতাশ হয়ে গেলাম। রোগীর নিজের ও নিজের প্রতি আশা ছিলোনা। রোগীও মারনের জন্য তৈরী হচ্ছেন। আমি নিরাশ হলে কি হবে বিধাতার ইচ্ছা অন্যরূপ হলে সবই কেমন বদলে যায় দেখুন।
সে দিন আমি গিয়ে রোগীর বাড়িতে গেলাম। রোগীকে জিজ্ঞেস করলুম “কেমন আছেন?”
সেই একই সুরে উত্তর দিল-“ যেতেতো বসেছি ডাক্তার বাবু! আর কেমন থাকা থাকি কি? মরতে পারলেই বাঁচি”। এই দিনে বিশেষ করে একটা লক্ষণ প্রকাশ হতে দেখলাম, তিনি যেন ভয়ানক বিরক্ত হয়ে পড়েছেন ।একটা অস্বস্থিযুক্ত ছটফটানি তার মধ্যে দেখা দিয়েছে, কোন মতেই তিনি শান্তি পাচ্ছেনা। উহ আহ ইত্যাদি বিরক্তকর সুরে এপাশ ওপাশ করছেন।
এইভাবে কতক্ষণ থাকার পর তিনি একজন কে বললেন- দেয়ালের ঐ ছবিটা ঠিক করে ঝুলিয়ে দাও তো! ওটা যে বেঁকে আছে তোমরা কি তা দেখতে পারছোনা? তৎক্ষনাত সেটা ঠিক ভাবে ঝুলানো হলো। রোগীও যেন একটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে চুপ করে রইলো।
আমার চোখের সামনে দেখা দিল একটা নতুন আলো। জিজ্ঞাসায় জানলাম তার স্বভাবটাই ঠিক এ রকম। সব জিনিস ঠিকঠাক ফিটফাট চাই। একটু এদিক ওদিক হলেই হুরুস্থুল ব্যাপার করে তোলেন। বেড়াতে বের হলো জুতো জোড়া ঠিক জায়গায় না পেলে চিৎকার শুরু করেন?
আমি মনে মনে জিজ্ঞাস করলাম-“এটা কি হুবহু আর্সেনিকের লক্ষণ নয়?
আর্সেনিক তো ঠিক এমনই।সেওতো ঠিক এরুপ Sensitive to disorder and confusion. তাকে আমি সে দিনই আর্সেনিক উচ্চশক্তি দিয়েছিলাম । এই আর্সেনিকেই রোগী আরোগ্য লাভ করে। মৃত্যূর দ্বার থেকে ফিরে আসে।
Dr.Ashraful Alam ঃ
আমার ভাগিনা,বড বোনের ছেলে।
জন্মের কিছুদিন পর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়,
তখন বোনের পরিবার আমার আব্বুকে না জানিয়ে প্রচুর এলোপ্যাথি চিকিৎসা করায়।কিছুতেই কিছু হচ্ছিলোনা।পরে আব্বু বল্লো তোমরা তো অনেক এলোপ্যাথি করিয়েছ এখন আল্লাহ পাকের নাম নিয়ে হোমিও খাওয়াও...
আল্লাহ পাকের রহমতে আর্স এল্বাম ৩০এক মাত্রাতেই আরোগ্য হয়,
তার লক্ষণ ছিল--মধ্য রাত হতে এত চিৎকার দিয়ে কান্না করতো যে তার বাডির অন্যান্য মানুষ জনও ঘুমাতে পারতো না, কিছুতেই শান্ত হতোনা,শুধু কোল পরিবর্তন করত।স্হান পরিবর্তন করতো।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------DrRabin Barman
জুনিয়র হোমিও বন্ধুদের শেখানোর জন্য,
সেই গ্লোমেরুলো-নেফ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত বাচ্চাটিকে আর্সেনিক দেওয়া হয়েছে,
যাকে অনেকে এপিস মেল, কেলি কার্ব, ইত্যাদি, দিতে চেয়েছিলে,
সাধারণত নেফ্রাইটিস বললেও রোগটির আসল নাম--- গ্লোমেরুলো-নেফ্রাইটিস। রাপিডলি প্রগ্রেসিভ গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস বলে এক ধরনের নেফ্রাইটিস আছে যা খুব ভয়ঙ্কর । এই ধরনের নেফ্রাইটিসে অতি দ্রুত রোগীর কিডনি খারাপ হয়ে যায়। এই বাচচাটি সেই বিরল রাপিডলি প্রগ্রেসিভ গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিসে আক্রান্ত।
গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস কিন্তু রেকারেন্ট রোগ। মাঝে মাঝে সুস্থ হয়ে যায়, কিন্তু রোগটি আবার ঘুরে আসে, যাকে মেডিকেল টার্মে বা ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় এপিসোডস। বারবার এমন চলতে থাকলে দশ থেকে কুড়ি বছরের মধ্যে কিডনী পুরোপুরি খারাপ হয়ে যায়।
যাই হোক, নেফ্রোটিক সিনড্রোম বা এ্যাকিউট গ্লোমেরুলনেফ্রাইটিস প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসায় যেমন স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করা হয় আমাদের হোমিওপ্যাথিতেও ভাল চিকিৎসা আছে।
শরীরের রক্ত থেকে জল নিষ্কাশন করে কিডনি বের করতে পারেনা বলেই সেই অতিরিক্ত জল শরীরের অভ্যন্তরে জমে হাত, পা, পেট, মুখ , সব ফুলতে থাকে । তাই হাত-মুখ ফোলা থাকে।
সেইজন্য গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস কেস ছাড়া যদি হাত, পেট, চোখমুখ, ফোলা পাওয়া যায, তাহলে তখন এপিস মেল, ইত্যাদি ঔষধ ভাবা যেতে পারে,
সেইজন্য ডায়াগনোসিস করতে জানার খুবই দরকার। এই বাচ্চাটি গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিসে ভুগছে , তাই এখানে এই ফুলে যাওয়ার কোন দাম নেই । এই ক্ষেত্রে তাই ফুলে যাওয়া বা শোথ কমন সিমপটম।
আমি প্রেসক্রিপশন করলাম আর্সেনিক এলবা ,
কারণ-----
★বাচ্চাটি অত্যন্ত দুর্বল,
★ পাতলা পায়খানা করছে যা খুবই দূর্গন্ধ,
★ বারবার জল খেতে চায়,
( এপিস তৃষ্ণাহীন) ,
সুতরাং তাকে প্রেসক্রিপশন করা হলো আর্সেনিক এলবাম,
তবে প্রচুর স্টেরয়েড ঔষধ পড়েছে। স্টরয়েডের পরে সাধারণত কোন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কাজ করতে চায় না,
দেখা যাক কি রেজাল্ট পাওয়া যায়
ডা. হাসান মীর্জা সাহেবের একটি রোগীলিপী:-
পশ্চিম মেদিনীপুরের মাদপুরে জৈনক রোগীনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হলে সব চেষ্টা শেষ করে অন্তিম পর্বে আমারে ডাকা হয় ।
রোগীনির জরায়ু ও তৎসংলগ্ন এলাকা ফুলে কোলাব্যাঙ।সে এক আশ্চর্য অভিজ্ঞতা। জ্বালা যন্ত্রণার সঙ্গে রোগীনীর মৃত্যুকালীন ছটফটানি, তার অস্থিরতা,তার ঘন ঘন মুখ ভেজানোর মত জলপান। যে রোগী এখনই মারা যাবে এমন পূর্বাভাস, Arsenic Alb -1m তাকে আরো তিন মাস যন্ত্রনাহীন ভাবে বাঁচিয়ে রেখেছিল। এ জাতীয় রোগের প্রাথমিক অবস্থায় আর্সেনিক বা হাইড্রাসটিস জাতীয় ঔষধ লক্ষণ অনুসারে দিতে পারলে আমার বিশ্বাস রোগী ভাল হবে।
DrRabin Barman
একটি এ্যানাল ফিশচুলা কেসে - অনলাইন চিকিৎসার মাধ্যমে
প্রেসক্রিপশন হয়েছে আর্সেনিক এ্যালবা,
কারন----
১) লোকাল জায়গা গরমে রিলিফ হয়,
২) মানসিক উৎকন্ঠা খুব বেশী,
৩) পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালবাসে,
৪) ভয়, আতঙ্ক --- রোগের, হাসপাতালের, রোগটা নিশ্চয় খারাপ হবে এমন ভাবনার,
৫) পিপাসা বেশী,
৬) এ্যালার্জিক রাইনাইটিস,
৭) ফিশচুলা সিফিলিটিক মায়াজম অন্তর্ভুক্ত, আর্সেনিকও একটি উল্লেখযোগ্য এ্যান্টি সিফিলিটিক মেডিসিন,
রোগী কিন্তু গরম কাতর,
কিন্তু তাতে আমি কোন গুরুত্ব দিইনি,
কারণ অনেক মানসিক লক্ষণ আর্সেনিকের পেয়ে গেছি,
যা শীত/গরমের মতন একটি শারীরিক লক্ষনের থেকে বেশী দামী
এবার আসুন কিছু ভিডিও দেখি এবং শিখি -
0 মন্তব্যসমূহ